সিলেটের বহুল আলোচিত মাদ্রাসা জামেয়া ইসলামিয়া ফরিদাবাদ, আহমদ হাউজিং বড়শলা এয়ারপোর্ট সিলেট এর পরিচালক মাওলানা হাফিজ ফখরুযযামান কে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে।
মাদানী নেসাবের ৩টি জামায়াতের ছাত্র এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে মাদ্রাসা ত্যাগ করে চলে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাওলানা খাইরুল ইসলাম বড়লেখী কে পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়ে উক্ত পদ থেকে হাফিজ ফখরুযযামান কে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ছাত্র বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ হলে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক ও ছাত্রের অভিভাবক সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে মাদ্রাসার পরিবেশ কে শান্ত করতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।
হাফিজ ফখরুযযামান এর বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ অনেক পুর্ব থেকেই চলে আসছে। ফরিদাবাদ মাদ্রাসা তার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে কারো কিছু বলার ছিল না। মাদ্রাসার কোন কমিটি না থাকায় এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বললেই ১ ঘন্টার নোটিশে শিক্ষক-ছাত্রদের বিদায় দিয়ে দিতেন।
বেপরোয়া ফখরুযযামান ইতিপূর্বে ২০২৩ ইং সালে জকিগঞ্জের মুন্সিবাজার মাদ্রাসা থেকে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে বহিস্কার করা হয়। বিগত দিনে সে এসব অপকর্ম করে ছাড় পেলেও এবার ধরা খেলেন শক্ত ভাবে। আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ এর গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন সচেতন আলেম সমাজ। মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের জোর দাবি এহেন অনৈতিক কাজের জন্য তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
সূত্র : আকাশ বাংলা ডটকম