বুধবার, রাত ৮:০২
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি,

সাত গম্বুজ মসজিদ ও অজানা সমাধির গল্প

শুক্রবারের কোনো এক ঝলমলে ছুটির দিনে ঢাকার ভেতরেই ঘুরে আসতে পারেন মোহাম্মদপুরের সাত গম্বুজ মসজিদ ও অজানা সমাধি থেকে। ঢাকার কোলাহল থেকে কিছুটা দূরে এই স্থাপত্য আপনাকে অনেকটা প্রশান্তি দিবে। আসুন প্রথমেই এই সাত গম্বুজ মসজিদের ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক।

 

১৬৮০ খ্রিস্টাব্দ। মোঘল সাম্রাজ্যের শাসন চলছে তখন বাংলায়। ঢাকার সুবেদার ছিলেন শায়েস্তা খাঁ। তারই পুত্র উমিদ খাঁ মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্মাণ করেন এক অসাধারণ মসজিদ। যার ছাদে রয়েছে সাতটি গম্বুজ। এই সাত গম্বুজের জন্যই এর নাম ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’।

 

মসজিদটি মোঘল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি। এটি লালবাগ দুর্গ মসজিদ এবং খাজা আম্বর মসজিদ এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। মসজিদটি ১৫ ফুট উঁচু এক প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত। মসজিদের উপরে তিনটি বড় গম্বুজ এবং চার কোণায় ছোট চারটি গম্বুজ স্থাপিত, যা মসজিদটির ভারসাম্য রক্ষা করে। মসজিদের চার কোণায় মোঘল মিনারের আদলে তৈরিকৃত মিনার ও খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। যার স্থাপত্যগুণ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

 

মসজিদের দেয়ালে রয়েছে মনোমুগ্ধকর অলঙ্করণ। ইটের উপর খচিত কারুকাজ, সিমেট্রিকাল খিলান এবং নকশাবহুল মেহরাব আজও সেই সময়ের দক্ষ শিল্পীদের কাজের নিদর্শন বহন করে।

 

মসজিদের ভেতরে চার কাতারে প্রায় ৯০ জন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদের সামনে একটি বড় উদ্যান আছে। অনেক আগে এর পাশ দিয়ে বয়ে চলত বুড়িগঙ্গা নদী। শুধু তাই না বড় বড় লঞ্চ, স্টিমার ভিড়ত এ মসজিদের সামনের ঘাটে। আজ কেবলই তা স্মৃতি।

 

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *