শাপলা শহীদদের স্মরণে কনফারেন্সের আয়োজন করেছে শাপলা স্মৃতি সংসদ। আয়োজকরা জানান, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের স্মরণে একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হচ্ছে। কনফারেন্সে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি তুলে ধরবেন।
আজ শনিবার (২৪ মে) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এই কনফারেন্স চলবে।
এই কনফারেন্স থেকে শাপলা গণহত্যার বিচার ও শহীদদের যথাযথ মূল্যায়নে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন:
শাপলা গণহত্যার শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। শহীদ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা এবং পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। বিশেষ করে শহীদ পরিবার ও পঙ্গুত্ববরণকারীদেরকে নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে।
২. পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস সংযোজন:
শাপলা গণহত্যার সত্য ইতিহাস জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
৩. জুলাই ঘোষণাপত্রে জাতীয় স্বীকৃতি:
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এ শাপলা গণহত্যাকে জাতীয় ট্রাজেডি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় অবস্থান সুস্পষ্ট করতে হবে।
৪. সরকারিভাবে শহীদ তালিকা প্রণয়ন:
রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যাচাইকৃত শহীদ তালিকা প্রস্তুত করে তা জাতীয় নথিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি:
মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী এই গণহত্যার দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার:
হেফাজতে ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
৭. স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন:
আইনজ্ঞ ও নিরপেক্ষ নাগরিকদের সমন্বয়ে ‘শাপলা গণহত্যা তদন্ত কমিশন’ গঠন করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সুপারিশমালা প্রকাশ করতে হবে।
কনফারেন্সে শাপলা স্মৃতি সংসদ-এর পক্ষ থেকে এই দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করছেন শাপলা স্মৃতি সংসদ-এর আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শাইখুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক,
অনুষ্ঠানে মাগরিবের পর শাপলার গণহত্যার প্রমাণ্যচিত্র ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়।
কনফারেন্সে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলান জালালুদ্দীন আহমাদ, তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা গাজী ইয়াকুব, দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, পিসবের পরিচালক মাওলানা ইমরান হোসাইন হাবিবী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদ সভাপতি, নূরুল হক নুর, ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদীসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত আছেন।
৫ Responses
Click here to boost your income! https://shorturl.fm/N6nl1
https://shorturl.fm/YvSxU
https://shorturl.fm/5JO3e
https://shorturl.fm/m8ueY
https://shorturl.fm/m8ueY