মঙ্গলবার, সকাল ৬:৫৩
১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি,

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে (আরআরআরসি) লেখা এক চিঠিতে এই ঘোষণা দেয়।

চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ১২৫০ আন্দোলনকারীরা শিক্ষক। তবে স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করা হলেও ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত কোনো রোহিঙ্গাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি।

ইউনিসেফ কক্সবাজার ফিল্ড অফিসের প্রধান এনজেলা কার্নে ও সেভ দ্য চিলড্রেনের মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, উখিয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা সেক্টরের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এর আগে ইউনিসেফ গত ২ জুন প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিল, তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী শিশু শিক্ষা ঝুঁকিতে রয়েছে। পর্যাপ্ত তহবিল না পাওয়ায় পর্যায়ক্রমে স্থানীয় শিক্ষক স্বেচ্ছাসেবকদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন এই চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউনিসেফ পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর এক হাজার ২০০ জন শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়। এসব শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। 

এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় থেকে শিক্ষকদের চাকরি পুনর্বহাল এবং পর্যাপ্ত তহবিল প্রদানের জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে।

55

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তহবিলে পরিচালিত শিক্ষা প্রকল্পের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন।

এর ফলে এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের। দুপুরের দিকে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষকরা। 

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশীপ, মুক্তি কক্সবাজার, জেসিএফ সহ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেগুলোতে রোহিঙ্গা সেচ্ছাসেবকদের বহাল রেখে ১২৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করে দিয়েছে। এসব সংস্থাগুলো দাতা সংস্থা ইউনিসেফের তহবিল সংকট বলে দাবি করে আসছে।

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *