২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির আয়োজিত মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে বলেন :
শাপলা গণহত্যা স্বাধীন কমিশন গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ যারা এই হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের চাকরি হতে বরখাস্ত, গ্রেফতার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। নিহত ও আহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ ও দায় স্বীকার করতে হবে। এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘৫ মে’ শাপলা গণহত্যাকে দিবস ঘোষণা করতে হবে।
যারা এখন ক্ষমতায় আছেন আপনাদের শাপলা গণহত্যার কার্যকর ও দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা সাধারণ কোনো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় বসেননি, আইনি প্রক্রিয়া মেইনটেইন করে ক্ষমতায় বসেননি। তাই গণহত্যার বিচারের জন্য আমাদেরকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া কিংবা হাইকোর্ট দেখানোর রাজনীতি করবেন না।
আমরা একটি `চূড়ান্ত বিপ্লব’ অদূর ভবিষ্যতে সংগঠিত করব ইনশাআল্লাহ। একটি চুড়ান্ত বিপ্লবের ইশতেহার ঘোষণার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।