মঙ্গলবার, সকাল ৬:৪৪
১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি,

বাংলাদেশের সব ঘরানার আলেমদের মিলনমেলা পবিত্র মক্কা নগরীতে

২০২৫ সালের পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শীর্ষস্থানীয় আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদদের মাঝে মক্কা নগরীতে দেখা গেছে এক হৃদয়স্পর্শী ঐক্যের দৃশ্য। মত, পথ ও ঘরানার ভিন্নতা উপেক্ষা করে তাঁরা এক কাতারে দাঁড়িয়েছেন ইসলামের মূল শিক্ষা ‘ঐক্য’-কে সামনে রেখে। এই মিলন দৃশ্য যেন উম্মাহর কাঙ্ক্ষিত সংহতির এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়—দেশের পরিচিত আলেমগণ পরস্পরকে আলিঙ্গন করছেন, হাসিমুখে কথা বলছেন এবং সকল মতভেদের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। কাবা শরিফের পবিত্র ছায়ায় দাঁড়িয়ে এমন মিলনের মুহূর্ত দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন- “কলিজা শীতল হয়ে গেল!”

এই মিলনমেলায় দেখা গেছে মিজানুর রহমান আজহারী, শায়খ আহমাদুল্লাহ, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি হারুন ইজহার, আবুল কালাম আজাদ বাশার, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি মুশতাকুন্নবী, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, শামসুদ্দোহা আশরাফী, শামিম সাঈদি, মুফতি কাজী ইব্রাহিম, মোস্তাক ফয়েজিসহ দেশের গণ্যমান্য শীর্ষস্থানীয় আলেমদের।

ধর্মীয় বিভাজন নয়, বরং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একতাবদ্ধ থাকা যে কতটা জরুরি—এই বার্তাই যেন ভেসে উঠেছে এই হৃদয়ছোঁয়া মিলনমেলায়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “যদি আলেম সমাজ এক থাকেন, তবে আমাদের কেউ হারাতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।” এই মন্তব্যগুলো যেন জনমনে আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে—ঐক্যই আমাদের প্রকৃত শক্তি।

উপস্থিত আলেমরা মহান আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দোয়া করেন—এই ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধন যেন চিরস্থায়ী হয়। তাঁদের এই আবেদন হৃদয় ছুঁয়েছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়। নেটিজেনরাও দোয়া করেছেন: “মহান আল্লাহ এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন অটুট রাখুন—আমিন।”

এই সফর শুধুই হজের নয়—বরং এটি হয়ে উঠেছে ইসলামি ঐক্যের এক বাস্তব ও প্রেরণামূলক উদাহরণ।

Facebook

২ Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *