শুক্রবার, সকাল ৯:০২
৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি,

পুলিশের অপতৎপরতা ঢাকতে হলুদ মিডিয়ার কারসাজি

বাংলাধ্বনি নিউজ ডেস্ক, ৩ মে ২০২৫ | রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ ঘটালো হেফাজতে ইসলাম। ঢাকার রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা গেল, প্রচুর পরিমাণ পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও তারা একদম হাতগুটানো দিয়ে বসে আছেন। পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে গেলেও মনোভাব ফেরানো যায়নি তাদের।

ছাত্রনেতা ত্বহা মাহমুদ জানান, ‘আমরা কয়েকবার পরিস্থিতি ঘোলাটে মনে হলে পুলিশকে অবগত করার পরেও কোন রেসপন্স পাইনি, এমনকি আশ্চর্য হলাম তখন, যখন দেখলাম হলুদ মিডিয়াগুলো এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের মাইনাস করে পুলিশের ফটোসেশান করছে এবং দালালি করে জোরগলায় চেচাচ্ছে’

 

শাহবাগ মোড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামিয়া দারুল উলূম মিরপুর ঢাকার শিক্ষার্থীদের দিনভর কাজ করতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা যাতে ভীড় ও যানযটমুক্ত থাকে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কেউ কেউ লক্ষ্য রাখছেন আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও।

 

শনিবার (৩ মে) ভোর থেকে এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসময় লাখো জনতা দলে দলে হেফাজত সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।

 

সকালে শাহবাগে মেট্রোরেল সংলগ্ন এলাকায় লাঠি হাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, অত্র এলাকায় কোনও যানজট বা কোলাহল আমরা সৃষ্টি হতে দেইনি। পাশাপাশি কেউ যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় কোনও ময়লা-আবর্জনা না ফেলে, সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে।

 

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী মিরপুরের শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল থেকেই তাদের বিভিন্ন টিম বিভিন্ন কাজ করছে। তাদের ওপর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার পড়েছে। ট্রাফিক ছাড়াও মহাসমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ বিভিন্ন কাজে একাধিক টিম কাজ করছে।

 

মহাসমাবেশের মূল দাবি চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো রয়েছে।

 

-কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *