রবিবার, সকাল ৬:০৪
৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি,

পল্লবী হেফাজতে ইসলামের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা

ছবি : বাংলাধ্বনি


বাংলাধ্বনি নিউজ ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | মিরপুর পল্লবী থানা শাখার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার ২৭ এপ্রিল, মুসলিম বাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে পূর্ণাঙ্গ ১০৩ জন বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন প্রবীণ আলেম মাওলানা আব্দুস সালাম ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন লেখক ও শাইখুল হাদীস মুফতি আব্দুল মালেক।

 

থানা কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা শামিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মালেক। এসময় বিগত দিনের ইতিহাস বিবরণ তুলে ধরে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইসলামবিদ্বেষী শক্তির রোষানলে পড়েছে হেফাজতের নেতারা। প্রথম আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর আহ্বানে সংগঠনটি সারাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালালেও, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা ছিল ইতিহাসের কালো অধ্যায়। লাখো তৌহিদি জনতা ১৩ দফা দাবিতে অবস্থান নিলে রাতের আঁধারে নির্বিচারে গুলি চালানো হয় রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা। অসংখ্য শহীদ হন, লাশ গুম হয় এবং আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.)-কে কারাবরণ করতে হয়।

 

মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংগঠনটির আরেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘কুরআন অবিশ্বাসীদের সাথে মুসলমানদের কোনো আপস ছিলো না আর থাকবেও না।

 

এদিকে আগামী ৩ মে, শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার আয়োজন ইতোমধ্যে সারাদেশে সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে, ৩ মে-এর মহাসমাবেশ ইসলামি ঐক্যের নবযাত্রার ইতিহাস রচনা করতে চলেছে — এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দেশের তৌহিদি জনতা।

 

সমাবেশে আলোচনা বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:

এক. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআনবিরোধী সুপারিশ বাতিল করা।

দুই. সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

তিন. শাপলা চত্বরসহ ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।

চার. ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ জানানো।

নেতারা জানিয়েছেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন নিছক রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটি বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার সংগ্রাম। শুধু একটি সমাবেশ নয়, ইসলামী শক্তির নতুন ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

 

-কা/ত/মা

Facebook