সোমবার, সকাল ৯:৪৬
১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি,

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

বাসচালক মো. সাব্বির মিয়া: সংগৃহীত ছবি


হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে যাত্রীবাহি বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা বাসচালক মো. সাব্বির মিয়াকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে। পরে সেনাবাহিনী তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। তবে বাসের হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে গেছেন।

রোববার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান।

 

তিনি জানান, বাসচালক মো. সাব্বির মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির মিয়ার ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার ফার্মগেটের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ভুক্তভোগী ওই তরুণী। তিনি রোববার ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের বাসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ওই ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। সিলেটে ঘুম ভেঙে তিনি নবীগঞ্জ হয়ে আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার জন্য ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের বাসে উঠেন। শেরপুরে অন্যান্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর বাসে তিনি একা থাকার সুযোগে চালক সাব্বির ও হেলপার লিটন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

তারা আরও জানায়, আউশকান্দি এলাকায় ভুক্তভোগী ছাত্রী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয়রা চালক সাব্বিরকে আটক করে তাদের হাতে তুলে দেন। তবে হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যান। পরে সেনাবাহিনী ভিকটিম কলেজছাত্রী ও ধর্ষক বাসচালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।

 

নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, কলেজছাত্রীকে ধর্র্ষণের অভিযোগে বাসচালককে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। হেলপার লিটন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *