সোমবার, রাত ১১:৫২
১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি,

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ফখরুলের ‘নো কমেন্টস’

আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত হওয়ার পর বিভিন্ন দিক থেকে বারবার দলটি নিষিদ্ধের দাবি উঠতে থাকে। সম্প্রতি দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গটি আবারও এসেছে আলোচনায়। এমন পরিস্থিতিতে দেশের আরেক বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বললেন, ‘নো কমেন্টস’।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চাইলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আলোচনা বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নো কমেন্টস’।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনই কোনো কমেন্ট করবো না। দয়া করে ওদিকে ডাইভার্ট করবেন না। থ্যাংক ইউ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে সংস্কার পরে; এ ধরনের অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি (সংস্কার সনদ) তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তী সময়ে যা বাস্তবায়ন করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করা। যাতে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা যায়। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত ঐকমত্যের সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদ পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই আমাদের সংগ্রামের সময়ে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রেরিত স্প্রেডশিট এ যে অপশন/পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে, তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তুবাকারে আসতে পারতো তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোয়েশ্চ‌নের আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন, প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না? হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কিনা? একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ এবং আইন সভা’ হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কিনা ইত্যাদি হ্যাঁ না বলুন। সংবিধানের ‘প্রস্তাবনার’ মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি।
এসময় তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের চালানো নজিরবিহীন হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান প্রমুখ।
Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *