মঙ্গলবার, রাত ১২:২৯
৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি,

হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির ফিলিস্তিনি মাদ্রাসা পরিদর্শনে সারজিস আলম

সম্প্রতি ওমরাহ পালন করে সংক্ষিপ্ত সফরে মিশরে রয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও জুলাই আগস্টের অন্যতম নেতা সারজিস আলম। এ সময়ে তিনি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মানুষদের সহায়তা প্রোগ্রামে অংশ নিবেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) তিনি আজ মিশরের কায়রোতে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ফিলিস্তিনি মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রশিদ মুন্না ও তোফায়েল আহমাদ।

ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য হাফেজ্জী চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠিত মিশরের সর্ববৃহৎ এ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে সারজিস আলম বাচ্চাদের শিক্ষা সামগ্রী ও খেলনা বিতরণ করেন। ফিলিস্তিনি শিশুদের সঙ্গে আনন্দ বিনিময়ে সারজিস আলম ও মাহবুবুর রশিদ মুন্না আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর মতো অচিরেই আমরা তোমাদের সঙ্গে নিয়ে আল আকসা মুক্ত করবো।’

হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠান এবং গাজার ভেতরে তাদের ব্যাপক কার্যক্রমের ব্যাপারে জেনে সংস্থাটির প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি পৃথিবীব্যাপী সব বাঙালিদেরকে সংস্থাটির মানবিক কাজে এগিয়ে আসার বিশেষ আহ্বান জানান। নিজেও পরবর্তী মিশর সফরে এবং বাংলাদেশেও সংস্থার যে কোনো মানবিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ সময়ে সফরসঙ্গী মাহবুবুর রশিদ মুন্না আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তিনি সংস্থাটির কর্ণধার উলামায়ে কেরামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন টিম হাফেজ্জী মিশরের প্রতিনিধি জমির মাসরুর ও আহমাদুল্লাহ জামি প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের শুরু ২০১৩ সালে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢালকানগর পীর মুফতি জাফর আহমদসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি। সংস্থাটি দেশে অসহায়ের সহযোগিতা, চিকিৎসা, স্বাবলম্বীকরণ ও পুনর্বাসনে কাজ করছে। কয়েক লাখ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে এরই মধ্যে। পুনর্বাসন করছে অসহায়দের। নওমুসলিমদের জন্য আছে কল্যাণ কর্মসূচি। দেড় বছর ধরে সহযোগিতা করছে গাজার অসহায়দের। গাজার শিশুদের জন্য করেছে স্কুল। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ছয়টি হাসপাতালে নিয়মিত সহযোগিতা করছে।

বিবিসি ও আল জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশি এ সংস্থার মানবিক কাজের বিষয় উঠে এসেছে। এবং সম্প্রতি সুদানের মানবিক সংকটেও কাজ করবে টিম হাফেজ্জী।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *