রবিবার, রাত ৪:৪৭
১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

শেষ হলো খতমে নবুওয়ত সম্মেলন, নতুন ৪ কর্মসূচি ঘোষণা

নতুন চার কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই মহাসম্মেলনে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এবং দেশ-বিদেশের বরেণ্য আলেমরা অংশ নেন। এদিন সকাল ৯টায় সম্মেলনটি শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে।

সম্মেলনের মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্‌ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা না হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতার গণস্বাক্ষর গ্রহণ; মে ও জুন মাসে দেশের প্রতিটি জেলার ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান; জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রতিটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় খতমে নবুওয়ত সম্মেলন আয়োজন।

এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম-ওলামাদের নিয়ে ডিসেম্বরে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন করবে খতমে নবুওয়ত।

সম্মেলনে বক্তব্য দানকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং সবাই সহযোগিতা করেন, তাহলে খতমে নবুওয়ত কমিটির দাবির বিষয়ে বিএনপি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যারা রাসুলুল্লাহকে (সা.) স্বীকার করে না, তাদের বিএনপি মুসলিম হিসেবে মনে করে না।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে দেশে বা মুসলিম বিশ্বে কোথাও কোনো দ্বিমত নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদের (পীর সাহেব, মধুপুর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমানও বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া পাকিস্তানের ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, পাকিস্তানের ইউসুফ বিন্নুরি টাউন মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরি; ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানী, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুয়ত মুভমেন্ট, সৌদি আরবের নায়েবে আমির শায়খ আবদুর রউফ মাক্কি, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শায়খ মুসআব নাবিল ইবরাহিমও এই সম্মেলনে অংশ নেন।

আর দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের মধ্যে সম্মেলনে যোগ দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, দারুল উলুম হাটহাজারীর অধ্যক্ষ মাওলানা খলিল আহমাদ কুরাইশী, আল হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক প্রমুখ।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *