রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে একটি মসজিদের অজুখানা ও টয়লেট ভাঙার ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে ওই অভিযান চালায়।
অভিযান পরিচালনা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা রহমান ও অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইমান। ঘটনাটি ঘটে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের উত্তর স্টেশনের পাশে অবস্থিত ‘জামিয়া দারুল উলূম জামে মসজিদ কমপ্লেক্স’ নামের একটি মসজিদে।
মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আব্দুল মালেক বাংলাধ্বনিকে বলেন, “রাজউক চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুসুল্লিদের সুবিধার্থে মাত্র তিনটি টয়লেট ও একটি অজুখানা নির্মাণ করা হয়েছিল। কোনো নোটিশ ছাড়াই রাজউক হঠাৎ এসে ভাঙচুর চালিয়েছে, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিয়াবাড়িতে অসংখ্য অবৈধ বাজার, দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে উঠলেও সেখানে কোনো অভিযান দেখা যায়নি। বরং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে অভিযান পরিচালনা করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এ ঘটনার পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে, যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
স্থানীয় একজন প্রবীণ বলেন, “মসজিদের মতো একটি পবিত্র স্থানে এই আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উন্নয়ন চাই, কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে নয়।”
এ ঘটনায় মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা বলছেন, “নিয়ম যদি সবার জন্য হয়, তাহলে অবৈধ বাজার ও দালালদের স্থাপনাগুলো কেন অক্ষত?” ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রাজউকের এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ রাজউকের এই পদক্ষেপকে “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত” হিসেবে দেখছেন। তারা ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, কেন এমন অভিযান জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইমান কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দিতে পারেননি।
কা/ত/মা