শনিবার, সন্ধ্যা ৭:০২
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি,

‘এমন নৃশংসতা এদেশে কখনও দেখেছি বলে মনে পড়ে না’

ছবি : আবরার ফাইয়াজ 

বাংলাধ্বনি নিউজ ডেস্ক : 

গত ৯ জুলাই রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগ (৪৩) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে যুবদলের নেতাকর্মীরা। গত ৯ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নৃশংসতায় নিহত বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডের ও পাথর দিয়ে পিষে ফেলার ভিডিও দেখলাম। অন্তত আমার স্মৃতিতে এধরণের নৃশংসতা এদেশে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আর কেন এধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটলো ৯ তারিখে আর জানাজানি হচ্ছে আজ ১১ তারিখে? শত শত মানুষের সামনে দিনের আলোতে দেশের রাজধানীর সবচেয়ে জনবহুল একটি জায়গায় এমন নৃশংসতা সম্ভব হলে আমাদের নিরাপত্তা ঠিক কোথায়!’

 

প্রসঙ্গত, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।

 

কা/ত/মা

Facebook

৪ Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *