সোমবার, সকাল ১০:০৮
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি,

আফগানিস্তানের ১৯ চেকপোস্ট দখল, বহু সশস্ত্র সদস্যকে হত্যা: দাবি পাকিস্তানের

কাবুলে হামলার জবাবে সীমান্তে পাক বাহিনীকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে আফগান তালেবান বাহিনী। এরপর পাল্টা তালেবান বাহিনীর সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালিয়ে ১৯টি চেকপোস্ট দখল এবং বহু চেকপোস্ট ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। রাতভর এ হামলায় কয়েক ডজন তালেবান ও সশস্ত্র বন্দুকধারী নিহতও হয়েছে বলে দাবি দেশটির নিরাপত্তা সূত্রগুলোর।

রোববার (১২ অক্টোবর) পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে এ তথ্য জানান। তিনি এক্সে দেয়া বার্তায় বলেন, ‘আফগান বাহিনীর বেসামরিক জনগণের ওপর গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। পাকিস্তানের সাহসী বাহিনী দ্রুত এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কোনো ধরনের উসকানি সহ্য করা হবে না।’

পাকিস্তানের জনগণ সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সীসার প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে বলে উল্লেখ করে নাকভি বলেন, ‘আফগানিস্তানকেও ভারতের মতো উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান আফগান সীমান্তে ১৯টি আফগান চৌকি দখল করেছে, যেখান থেকে পাকিস্তানের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছিল।’

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী পাল্টা জবাবে পাক-আফগান সীমান্তের একাধিক এলাকায় আফগান বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিরাপত্তা সূত্র আরও জানিয়েছে, পোস্টে উপস্থিত আফগান তালেবানরা নিহত হয়েছে এবং বাকিরা তাদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে গেছে। পাক নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, আফগানিস্তানের দিক থেকে গুলি চালানোর লক্ষ্য ছিল ‘খাওয়ারিজদের (টিটিপি)’ পাকিস্তানের সীমান্তে প্রবেশ করানো। তবে, সতর্ক এবং প্রস্তুত পাকিস্তানি পোস্টগুলো থেকে দ্রুত এবং জোরদারভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

তারা আরও জানায়, এই অভিযানে ‘ডজন ডজন আফগান সেনা এবং খাওয়ারিজ’ নিহত হয়েছে এবং তালেবানরা তাদের বেশ কয়েকটি পোস্ট ত্যাগ করে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।

ডনের খবরে বলা হয়, পিটিভি নিউজ আফগান পোস্টে গুলি চালানোর বেশ কয়েকটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যার মধ্যে কিছু আগুনে পুড়ে গেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কুররামে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছে আফগান সেনারা।

প্রতিশোধমূলক অভিযানে কামান, ট্যাঙ্ক, হালকা এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সূত্রগুলো। বিভিন্ন স্থানে রাতভর গোলাগুলি বিনিময়ের পর তোরখাম সীমান্ত ক্রসিংয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *