রবিবার, সকাল ৭:৩৯
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

অভিশপ্ত যে দু’টি কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন নবীজি

বান্দার আমলেই নির্ধারণ হবে পরকালে তার ঠিকানা জান্নাত নাকি জাহান্নাম। তাই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর ‘পরীক্ষায়’ উত্তীর্ণ হয়ে পরকালে সফল হতে মহান রবের হুকুম যেমন মেনে চলা জরুরি, তেমনি রাসুল (সা.) এর আদর্শ এবং তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ জরুরি।

পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭)

অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তারা জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮২)

এজন্য বিভিন্ন সময়ে বর্ণিত হাদিসে উম্মতদের নানা বিষয়ে আদেশ-নিষেধের পাশাপাশি উত্তম আমলের পথও বাতলে দিয়েছেন নবীজি (সা.)। এরমধ্যে একটি হাদিসে দু’টি নিষিদ্ধ কাজের কথা এসেছে, যা অভিশপ্ত আচরণের অন্তর্ভুক্ত।

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমরা রাস্তার ওপর রাত যাপন করা ও সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকো। কেননা তা (রাতে) সাপ ও হিংস্র জন্তুর যাতায়াতের পথ। তোমরা রাস্তায় প্রস্রাব-পায়খানা করা থেকেও বিরত থাকো। কারণ, তা অভিশপ্ত আচরণের অন্তর্ভুক্ত। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩২৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা এমন দু’টি কাজ থেকে বিরত থাক, যা অভিশপ্ত। এ সময় সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! সেই অভিশপ্ত কাজ দু’টি কি? জবাবে নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষের যাতায়াতের পথে কিংবা ছায়াযুক্ত স্থানে (বৃক্ষের ছায়ায় যেখানে মানুষ বিশ্রাম গ্রহণ করে) প্রস্রাব-পায়খানা করে। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২৫)

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *