সোমবার, সকাল ১১:০২
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি,

ঢাকা-১৬ আসনে আলহাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের গণমিছিল: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জুমার নামাজ আদায়ের পর পল্লবী ও রূপনগর এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এক বিশাল গণমিছিল করেন ঢাকা-১৬ আসনের গণমানুষের নেতা, বিশিষ্ট সমাজসেবক, সফল ব্যবসায়ী ও রাজপথের লড়াকু রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন।

গণমিছিল শেষে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “ধানের শীষ” প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ গণমিছিলে হাজারো জনতার ঢল নামে। উপস্থিত জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “আমি সারাজীবন জনগণের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। এই এলাকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ও অন্যায়ের শৃঙ্খল ভেঙে শান্তির সমাজ গড়াই আমার একমাত্র অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় মানে দেশের গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ। আমি বিশ্বাস করি, পল্লবী ও রূপনগরের মানুষ গণতন্ত্র, ন্যায় ও উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবেন।”

দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক পথচলা

আলহাজ্ব এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও সমাজসেবক। ১৯৯১ সালে তিনি পল্লবীর ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ১৯৯৭ সালে বিএনপি ঢাকা মহানগরের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এছাড়া তিনি বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

শিক্ষা ও সমাজসেবায় অগ্রদূত

শুধু রাজনীতি নয়, শিক্ষা বিস্তারেও তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ (স্থাপিত ১৯৯৩), শহীদ জিয়া গার্লস ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট (স্থাপিত ২০০২), এবং এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন ফাউন্ডেশন, এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়, এবং এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

তিনি বহু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দাতা ও আজীবন সদস্য। পাশাপাশি পল্লবীর বিভিন্ন ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

শান্তি, উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার

গণমিছিল শেষে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “আমার একান্ত ইচ্ছা — পল্লবী ও রূপনগরকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ হিসেবে গড়ে তোলা। আমি জনগণের ভালোবাসা নিয়েই এই পথে নেমেছি, তাদের জন্যই আমার রাজনীতি।”

স্থানীয়রা বাংলাধ্বনিকে বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন সবসময়ই এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন—চাই তা দুঃসময়ের সহায়তা হোক, কিংবা উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *