ভোলা সদর উপজেলার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ১৫ কোটি টাকার কাঁচামাল নিয়ে সিরামিক কাঁচামালবাহী কোস্টার জাহাজ এমভি রেক্সগ্লোরি-১ ডুবে যাওয়ার ৩ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ। এতে পানিতে ভাসছে জাহাজে আটকে থাকা ১৫ কোটি টাকার কাঁচামাল। ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো জাহাজটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল শুক্রবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিরামিক কাঁচামাল বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় এমভি রেক্সগ্লোরি-১। জাহাজটি পথিমধ্যে বিরতিকালে ভোলার কাঁচিয়া ঘাটে নোঙর করে। পরে, ৩১ আগস্ট ভোর রাতে নোঙর উঠিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি সুলতানা বক্কর নামের অপর একটি জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে রেক্সগ্লোরি-১ জাহাজের তলা ফেটে ধীরে ধীরে ডুবতে থাকে।
পরে, স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় জাহাজে থাকা ১৩ জন স্টাফকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসেন। তবে, দুর্ঘটনার পরপরই জাহাজ ডুবে যাওয়ার বিষয়টি মালিক পক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ।
ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে মীর সিরামিকস কোম্পানির ১ হাজার ৮০০ টন কাঁচামাল রয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ কোটি টাকা।
এদিকে, গতকালে বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহাজটির প্রায় ৮০ ভাগই পানির নিচে ডুবে গিয়েছে। কেবলমাত্র মাস্তুল ও মাস্টার ব্রিজের কিছু অংশ দৃশ্যমান। নদীতে জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার আগে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মালামাল ও জাহাজ উভয়ই চিরতরে হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
জেলেদের চলাচল ও মাছ ধরার রুটে জাহাজ ডুবে যাওয়ার পরেও উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে এমনভাবে জাহাজ ডুবে থাকায় নদীপথে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানান স্থানীয় নৌযান চালকরা।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদাত হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘দু’টি জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করার জন্য তাদের বলা হয়েছে।’
কা/ত/মা