শুক্রবার, সকাল ৯:৩৫
৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

বারডেম হাসপাতালে নবজাতক অদলবদলের অভিযোগ

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বারডেম মা ও শিশু হাসপাতালে নবজাতক অদলবদলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এক দম্পতিকে মেয়ের বদলে ছেলে নবজাতক দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) এমন অভিযোগ করে অ্যাডভোকেট এম এ মুকিত বলেন, বিকেল ৩টায় আমার স্ত্রীর ডেলিভারির কথা থাকলেও বেলা ১১টায় এনে গরম কক্ষে ফেলে রাখা হয়। আমি এসি ক্যাবিন নিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে কোনো নার্স বা সহযোগী ছিল না। কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগও পাইনি। পরে ওটি করেছে, ছেলেসন্তান হয়েছে বলে আমার স্ত্রীর নাম ধরে ডেকে দিয়ে দিছে।

এম এ মুকিত বলেন, ‘আমি আজান দিয়ে ছেলেকে ক্যাবিনে নিয়ে যাই এবং আত্মীয়দের জানাই। ২৫-৩০ মিনিট পর দেখি শিশুর হাতে লেখা আছে অন্য মায়ের নাম— সুরাইয়া ইয়াসমিন। অথচ আমার স্ত্রীর নাম সুরাইয়া আক্তার।

তিনি বলেন, পরে ওটির সামনে গিয়ে দায়িত্বরতদের জানাই, ‘এটা তো আমার সন্তান নয়। আমি সাউট করলে ওটির ভেতর থেকে চিকিৎসকরাও বের হয়ে আসেন। পরে তারা যাচাই করে দেখেন, সত্যিই নবজাতক বদল হয়েছে। সুরাইয়া ইয়াসমিনের পরিবারকে তাদের মেয়ে সন্তান দেওয়ার কথা থাকলেও ভুল করে আমার মেয়েকে তাদের কাছে ও তাদের ছেলে সন্তানকে আমাকে দিয়ে দেওয়া হয়।

মুকিত বলেন, এ ঘটনায় চিকিৎসকের কোনো দোষ নেই। ডিউটি ডাক্তার, নার্স ও আয়াদের হেয়ালিপনার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর রাতেই সেগুনবাগিচার বারডেম হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ‘এ নিয়ে চলছে নানান কানাঘুষা। নুরুন্নাহার নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এ ঘটনার কারণে আমরা সবাই ভোগান্তিতে পড়েছি। এখন ভেতরে যেতে পারি না, রোগীর খবরও নিতে পারি না—হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি করে ফেলেছে।’

এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিচ্ছি।’

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *