গাজীপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের জানাজা হয়েছে, চান্দনা এলাকায়। প্রথম দফা জানাজায় অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তারা তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন। জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে। ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ তুহিনের মা-বাবা; বাড়িতে শোকের মাতম। সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে দাফন করা হবে তাকে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জুমার নামাজের পর গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আসাদুজ্জামান তুহিনের জানাজা। এতে অংশ নেন, স্থানীয় সাংবাদিক, বিএনপি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এসময় তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভও করা হয়।
পরে তুহিনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স রওনা হয় গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ভাটিপাড়া গ্রামের উদ্দেশে। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা ও মা।
সবশেষ কোরবানির ঈদে বাড়ি গিয়েছিলেন তুহিন। একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নানা চ্যালেঞ্জ-সম্ভাবনার নানা গল্প করেছিলেন পরিবারের সাথে। জানিয়েছিলেন, আগামী দিনের পথচলার কথা। কিন্তু, এখন সব শেষ।
নৃশংস এই হত্যার ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী। খুনীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চান তারা।
৫ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার কনিষ্ঠ তুহিন। ২০০৫ সাল থেকে পরিবার নিয়ে গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার কুপিয়ে হত্যা করা এই গণমাধ্যমকর্মীকে।
কা/ত/মা