রবিবার, রাত ১:১২
৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

নুরকে সুস্থ দেখানোর একটি পরিকল্পনা চলছে, অভিযোগ রাশেদের

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নয় তাকে সুস্থ দেখানোর একটি পরিকল্পনা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রাশেদ খাঁন জানান, নুরুল হক নুর এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার নাক দিয়ে এখনো রক্ত পড়ছে। নাক আরো বাঁকা হয়ে গেছে। মাথায় আঘাত, হাঁটতে পারছেন না এবং তিনি মুখ হা-ও করতে পারছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হবে। পরিবেশ উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এরইমধ্যে নুরকে বিদেশ নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগে যেমন ছিল তেমনই রয়েছে।

তিনি বলেন, তিনি (নুরল হক) এখন প্লেনে ওঠার মতো অবস্থাতে নেই। আমরা সিঙ্গাপুর নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য দাবি জানিয়েছি। আরেকটু সুস্থ হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিদেশ নেওয়া হতে পারে।

রাশেদ খাঁন বলেন, গতকাল হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে নুরুল হক নূর সম্পূর্ণ সুস্থ কিন্তু এই কথার কোনো সত্যতা নেই। নুরুল হক নুর এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নয় তাকে সুস্থ দেখানোর একটি পরিকল্পনা চলছে। আমি একটু আগে তাকে দেখে আসলাম সেখানে ডাক্তাররাও ছিলেন। নাক থেকে তার জমাট বাধা ব্লাড বের হলো। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ডিরেক্টরকে ফোন দিলাম তিনি এলেন এবং অন্যান্য ডাক্তাররাও ছিলেন। ডিরেক্টর সঙ্গে সঙ্গে অন্য চিকিৎসকদেরও ডাকলেন এবং আমরা বললাম তার এই অবস্থা। তিনি নুরুল হক নূরের যে ধরনের চিকিৎসা দরকার তিনি সেই নির্দেশনা দিলেন। অথচ আমরা লক্ষ্য করলাম গণমাধ্যমে বলা হয়েছে- নুরুল হক নূর সুস্থ কিন্তু তিনি তো এখনো আগের মতোই রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি নুরুল হক নূরের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি কথা বলতে পারছেন না। তার চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মুখ দিয়ে কথা বলতে পারছেন না, তার মুখের মাড়িতে প্রচণ্ড ব্যথা এবং ব্রেনে তার আঘাতের চিহ্ন থাকায় তার ব্রেনও ঠিকমতো কাজ করছে না। নুরুল হক নুর এখনো পরিপূর্ণ সুস্থ হননি তিনি আগে যেমন ছিলেন এখন পর্যন্ত তেমনি আছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, নুরুল হক নূরের ওপর যে হামলা হয়েছে এই হামলাকে কেন্দ্র করে পুরো জাতি আজ একতাবদ্ধ হয়েছে। এখন এ দেশের মানুষের যে চাওয়া সেটি হলো আওয়ামী লীগকে যেভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলসহ যারা ফ্যাসিবাদের দোসর তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এটা এই সরকারের জন্য লজ্জার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা ব্যতীত এই ধরনের ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। গণধিকার পরিষদ মনে করে নুরুল হক নুরের উপরে এবং তার নেতাকর্মীদের উপরে যে হামলা হয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। এই ধরনের ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি একজন অন্যতম সদস্যকে এভাবে হামলা করার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *