সোমবার, রাত ২:৫৪
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

‘জাতীয় দলে খেলতে হলে আগে দেশে ফিরতে হবে, মামলা লড়তে হবে’

তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেটের বড় দুই নাম। একসময় তাদের বন্ধুত্বের কথা শোনা গেলেও এখন দুজন দুই মেরুতে। তাদের দ্বন্দ্বের খবরও অজানা নয় কারোরই। রাজনৈতিক কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে সাকিব। অন্যদিকে বিসিবির নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল।

দেশান্তরী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে থাকা সাকিব। তামিম বোর্ড সভাপতি হলে সাকিব আবারও মাঠে নামতে পারবেন কি না এমন প্রশ্ন উঠছে। তবে কারও কারও মত, পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হবে না। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ডেইলি ক্রিকেট-এর এক পডকাস্টে খোলাখুলি কথা বলেছেন তামিম।

তিনি বলেন, ‘সে একজন একটিভ ক্রিকেটার। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটার। এখন সে যদি ফিট থাকে, অনুশীলন করতে পারে এবং নির্বাচকরা যদি তাকে দলে রাখার যোগ্য মনে করেন, অবশ্যই সে যোগ্য। তাহলে সে জাতীয় দলের জন্য আবারও নির্বাচিত হবে। তাকে দেশে ফেরানোটা আমার হাতে নেই। এখানে আইনি বিষয় জড়িয়ে আছে।’

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন সাকিব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে দেশে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও আছে। এমন পরিস্থিতিতে তামিম বললেন, ‘দেশের পরিস্থিতি তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে, সে যদি সেগুলোর মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতীয় দলের অনুশীলন করতে পারে, নিঃসন্দেহে তার জন্য দরজা খোলা থাকবে। সে আমেরিকান ক্রিকেটার নয়, পর্তুগিজ ক্রিকেটার নয়, সে বাংলাদেশের।’

জাতীয় দলে খেলতে হলে সাকিবকে আগে দেশে ফিরতেই হবে বলে মত তামিমের, ‘কোর্টে মামলা চালানো, মামলা উঠিয়ে নেওয়া তো বিসিবির বিষয় না। সাকিবকে দেশের হয়ে খেলতে হলে আগে দেশে ফিরতে হবে, অনুশীলন করতে হবে। এটাই হলো সত্যি কথা। আমি কোনো কিছু লুকাচ্ছি না। এটা সাকিবেরও দেশ, ক্যারিয়ারটাও তার, সুতরাং এসব সে করবে কি না সেটা তার সিদ্ধান্ত। এটা আমি বলে দিতে পারি না।’

কা/ত/মা

 

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *