সোমবার, রাত ১১:৪৮
১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাহিত্য রচনায় লেখক ফোরাম পদক পেলেন মুফতি হিফজুর রহমান

বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম এবার তিনজন গুণী লেখককে পদকে ভূষিত করেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে ফোরামের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে এই পদক প্রদান করা হয়।

তিনজনের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাহিত্য রচনায় পদক পেয়েছেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতি এবং বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও লেখক মুফতি হিফজুর রহমান।

নিচে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় তুলে ধরা হলো-

বাংলাদেশের হাতেগোনা যেসব আলেম আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছেন তাদের মধ্যে মুফতি হিফজুর রহমান অন্যতম। তাঁর জন্ম কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তর হাওলা গ্রামে, ১৯৫৮ সালের ১৬ এপ্রিল। তাঁর পিতা মুহিব্বুর রহমান রহ. ছিলেন একজন বিখ্যাত আলেম, শাইখুল ইসলাম মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ.-এর খলিফা। তাঁর মা রাজিয়া খাতুন ছিলেন গৃহিনী।

মুফতি হিফজুর রহমান দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। তারপর পাকিস্তানের জামিয়াতুল উলুমুল ইসলামিয়ায় মাওলানা ওয়ালী হাসান টুঙ্কী, মাওলানা আব্দুর রশীদ নোমানী এবং মাওলানা আব্দুস সালাম চাটগামীর কাছে উচ্চতর ফিকাহশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।

কর্মজীবন : ১৯৮৫ সালে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম বরুড়া মাদরাসায় তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। সেখানে দীর্ঘ পনের বছর শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ.-এর আহ্বানে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি জামিয়া রাহমানিয়ার পাশাপাশি একাধিক মাদরাসায় বুখারি শরিফের দরস দিচ্ছেন।

তাঁর রচনাবলি: তিনি বাংলা ও আরবি ভাষায় লেখালেখি করেন। এ পর্যন্ত তাঁর সত্তরের অধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো : সেবার আড়ালে এনজিওরা কী করছে, সুদ : ধ্বংস ও শোষণের হাতিয়ার, কাদিয়ানি মতবাদ ও উলামায়ে ইসলাম, অপসংস্কৃতির অগ্রাসন ও মিল্লাতে মুসলিমা ইত্যাদি।

তার আরবি রচনাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : মা ইয়াম্বাগি বিহিল এনায়েত লিমান ইয়ুতালেয়ুল হেদায়াহ, মাকানাতু আবি হানিফা ফিল ফিকহি ওয়াল হাদিস, মুজামাল ফিকহি ওয়াল মুতাফাক্কিহ। তবে তিনি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান ২৩ খণ্ডে রচিত আল বুদুরুল মুজিয়্যাহ ফী তারাজিমিল হানাফিয়্যাহ এবং আট খণ্ডে রচিত আল ইয়াওয়াকীত ওয়াল জাওয়াহের ফি তারাজিমি নুবালাই বাংগাল লিখে। প্রথম বইটি হানাফি ফিকহের প্রসিদ্ধ উলামায়ে কেরামের জীবনী এবং দ্বিতীয় বইটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ২১৮৩ জন উলামায়ে কেরামের জীবনী। দুটি বইই মিসর থেকে ছাপা হয়েছে এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *