চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে হামলা, কটূক্তি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও ছাত্রদের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহাপরিচালক মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, কথিত নামধারী সুন্নি ও জশনে জুলুস অনুসারীরা শনিবার (১২ রবিউল আউয়াল) মাদ্রাসার সামনে গান-বাজনা, উস্কানিমূলক স্লোগান ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। তারা আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.)-এর কবরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং জামিয়ার মসজিদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ প্রদর্শন করে।
এ সময় রাতের বেলায় মাদ্রাসার বাইরে বাজারে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যাওয়া ছাত্রদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে শতাধিক ছাত্র আহত হয়, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। আহত অনেকেই এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। পাশাপাশি প্রশাসনের গাফিলতির তদন্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বহীন সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী বলেন, “রবিউল আউয়ালের জশনে জুলুস ও মাজারকেন্দ্রিক উরশের নামে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো গাড়ি হাটহাজারী মাদ্রাসা এলাকায় গান-বাজনা ও উস্কানিমূলক আচরণ করতে না পারে— সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
কা/ত/মা