সাহিত্যচর্চায় বিশেষ অবদান রাখায় কলমসৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও কবি মিযানুর রহমান জামীল বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। রাজধানীর পল্টনে অনুষ্ঠিত টইটই সাহিত্য সভায় তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৫) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আজহারুল ইসলাম আল আজাদ। টইটই-এর কর্ণধার কবি সাহেদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন কথাসাহিত্যিক শাওন আসগর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হরিদাস ঠাকুর, বাংলা একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা আইয়ুব মুহাম্মদ খান এবং ছড়াশিল্পী সুমন রায়হান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কবি মিযানুর রহমান জামীল সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে চিন্তা, চেতনা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নিরলসভাবে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। তাঁর লেখায় সমাজ, সময় ও মানুষের জীবনসংগ্রামের প্রতিফলন স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
জানা যায়, ২০২৫ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত মিযানুর রহমান জামীলের বই ‘ফুলের আঘাত’ (টইটই প্রকাশিত) পাঠকসমাজে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বইমেলা শেষ হওয়ার আগেই গ্রন্থটির প্রথম মুদ্রণ নিঃশেষ হয়ে যায়।
২০১১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— এ্যাকশন, মহাবিপদ সংকেত, ইতিহাসের মহানায়ক, বর্ণাঢ্য হায়াত, সোনালি জীবন, সময়ের প্রত্যাবর্তন, হৃদয়ে ফকীহুল মিল্লাত, হায়াতে সানাউল্লাহ আব্বাসী, সাত সমুদ্র পেরিয়ে, আমাকে বাঁচান, সীমান্ত প্রহরী, শিউলি ফোটার দিনে, সোনালি কবিতার দোষে, ফুলের আঘাত, ভোরের আজান প্রভৃতি।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্মাননা গ্রহণ শেষে কবি মিযানুর রহমান জামীল বলেন, “আগামী দিনে কওমি তরুণদের মধ্যে লেখালেখির এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নতুন প্রজন্ম সাহিত্যচর্চায় আরও উৎসাহিত হবে বলে আমি আশাবাদী।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইকবাল হোসেন, নিলয় বিশ্বাস, মিলি হক, মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন, গোলাম নবী পান্না, গিয়াস হায়দার, বিমল সাহা, রাইয়ান জহির, ফারুক প্রধান, সরদার আব্বাস উদ্দিন, নার্গিস চমন, ওয়ালিদা মোনালিসা, সুমাইয়া আক্তার, মাহবুবসহ আরও অনেকে।
কা/ত/মা