বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে স্বাধীন ও পৃথক রাষ্ট্র হলেও দুই দেশের মধ্যে আত্মিক বন্ধন আজও অটুট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, “মানুষের প্রথম ও মৌলিক অধিকার হলো স্বাধীনতা। ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য আলেম তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমার পিতা মুফতি মাহমুদ (রহ.) এবং ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা আস‘আদ মাদানী (রহ.) বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক—এটাই আমাদের কামনা।”
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়েদ আস‘আদ মাদানী (রহ.)-এর জীবন ও কর্মভিত্তিক আলোচনা সভা ‘আন্তর্জাতিক ফিদায়ে মিল্লাত কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ও ফিদায়ে মিল্লাত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা মাসরুর আহমদ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি নাছির উদ্দিন খান, মুফতি জাবের কাসেমী এবং মাওলানা সাইফুদ্দিন ইউছুফ ফাহিম।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ভারতের সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানী বলেন, “আমার পিতা ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়েদ আস‘আদ মাদানী (রহ.) ছিলেন দ্বীনের এক নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। ইসলাম, মুসলমান, দেশ ও উম্মাহর কল্যাণে তিনি সারাজীবন নিরলসভাবে কাজ করেছেন। নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দিল্লির রাজপথে মিছিলও করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলামিক স্কলারদের উপস্থিতিতে আমরা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আস‘আদ মাদানীর ছোট ছেলে মাওলানা মওদুদ মাদানী, জমিয়তে উলামা পাকিস্তানের মাওলানা খালেদ সিদ্দিকী এমপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, পাকিস্তানের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল গফুর হায়দারীসহ দেশি-বিদেশি বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।
কা/ত/মা