জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার সময় ক্ষুদার্থ গাজাবাসীর একাধিক ছবি প্রদর্শন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, এটিই গাজার দৈনন্দিন জীবনের চিত্র।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে উদ্বোধনী অধিবেশনে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের চিত্রটি তুলে ধরেন তিনি। তিনি তার বক্তব্যের প্রথম অংশের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি প্রসঙ্গে কথা বলেন। খবর আল-জাজিরা।
ছবিটিতে দেখা যায়, ক্ষুধার্ত মহিলারা বালতি এবং হাঁড়ি ধরে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন।
এরদোগান গাজাবাসীর ছবিটি দেখিয়ে বলেন, এটিকে অন্য কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব বলে মনে করি না। এটি সম্পূর্ণ একটি গণহত্যা। এই বেসামরিক প্রাণহানির জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনেয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজা ইস্যুতে নীরবতা ভাঙার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন এবং এই প্রশ্নের উত্তর দিন। ২০২৫ সালে এই বর্বরতার জন্য কি যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে? এই লজ্জাজনক ছবিটি গাজার এবং তা ২৩ মাস ধরে চলছে। এ সময় গাজায় বর্বরতাকে মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তগুলির একটি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর এরদোগান গাজায় তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর আরেকটি ছবি দেখান। তিনি সেই ছবি দেখিয়ে বলেন,
এটি দেখে কেউ কীভাবে চুপ থাকতে পারে? যেখানে শিশুরা অনাহারে এবং ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছে।
এছাড়াও, এরদোগান সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড ও গণমাধ্যম দমনের সমালোচনা করে বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এগুলো মূলত গাজার নৃশংসতা আড়াল করার চেষ্টা। তবে দেশটি গাজার সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দিলেও তারা গণহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারেনি।
কা/ত/মা