ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেছেন, ব্যক্তি গঠন ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি বলেন, প্রকৃত সংস্কার তখনই বাস্তবায়িত হতে পারে, যখন একজন মানুষ ভেতর থেকে পরিবর্তিত হয়। কেবল ধারা-দফা পাল্টে দেওয়া বা কাগজে-কলমে নতুন কিছু সংযোজন করাকে সংস্কার বলা যায় না।
শনিবার (৫ আগস্ট) ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি রাজী বলেন, মানবসভ্যতার অন্ধকার সময়ে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যক্তি গঠনের মাধ্যমেই সংস্কারের সূচনা করেছিলেন। সীরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ মানুষের চরিত্র ও মানসিকতা বিশুদ্ধ করার একমাত্র কার্যকর উপায়। নবীজী প্রথমে মানুষের অন্তরকে সংশোধন করেছেন, তাদের চিন্তা ও কর্মকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন—সেই মানুষরাই পরবর্তীতে বিশ্বকে আলোকিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত সংস্কার ছাড়া সব ধরনের সংস্কার শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এজন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে প্রেরণার মূল উৎসে—রাসূল মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্মে। সীরাতুন্নবীই একমাত্র আলো, যা মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়ে চরিত্রবান ও ন্যায়নিষ্ঠ মানুষে পরিণত করতে পারে।
মিলাদুন্নবী পালন প্রসঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব বলেন, রাসূলের জীবনের যেকোনো দিক নিয়ে আলোচনা সওয়াবের কাজ হলেও আলাদা দিন নির্ধারণ করে তা পালন করার কোনো নির্দেশনা নেই। ইহুদি-খ্রিস্টানদের মতো দিবস নির্ধারণ করে পালন করা ইসলামে অবৈধ এবং বেদআত হিসেবে গণ্য হবে।
কা/ত/মা