মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ১৪টি ককটেল উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নে এই ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় গাজী গ্রুপের সঙ্গে মোল্লা গ্রুপের বিরোধ চলছিলো। আজ দুপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ১৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
মোল্লা গোষ্ঠীয় চরকেওয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জালাল মোল্লা অভিযোগ করেন, গাজী গোষ্ঠীর লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে মোল্লা গোষ্ঠীর লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। এজন্য আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রতিপক্ষ চরকেয়ার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার গাজী দাবি করেন, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। মসজিদের বাইরে দুই কিশোরের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছিল। এরপর আমি বিচার করার আশ্বাস দিয়েছিলাম। আজ দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, বিকেল ৪টার দিকে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
কা/ত/মা