শনিবার, বিকাল ৫:৪৪
১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

জুমার নামাজের প্রথম রাকাত না পেলে জোহর পড়তে হবে?

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। পবিত্র কুরআনে জুমা নামে একটি সুরাও রয়েছে। যেখানে মহান এই দিনের তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচাকেনা বর্জন করো। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)।

অন্যদিকে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- সূর্য উদয়ের দিবসগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। সে দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়। তাকে ওইদিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। তাকে তা থেকে ওইদিন বের করা হয়। আর কিয়ামতও হবে জুমার দিনেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৫০)

এ ক্ষেত্রে জুমা আদায়কে ফরজ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দেন (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৫০০)।

আবার আগেভাগে জুমার নামাজে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ সওয়াব রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন- যখন জুমার দিন হয় তখন মসজিদের প্রতিটি দরজায় ফেরেশতা এসে দাঁড়িয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি প্রথম মসজিদে এসে প্রবেশ করে, তার নাম লিখে নেয়। তারপর পরবর্তীদের পর্যায়ক্রমে নাম লেখা হয়। ইমাম যখন (মিম্বারে) বসে পড়েন তখন তারা এসব লিখিত পুস্তিকা বন্ধ করে দেন এবং তারা মসজিদে এসে জিকর (খুতবা) শুনতে থাকেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৯৮৪)

আরেকটি হাদিসে এসেছে, কেউ যদি জুমার দিন জানাবাতের (ফরজ) গোসল করে মসজিদে রওয়ানা হয়ে যায়, তবে সে যেন একটি উট কুরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি গাভী কুরবানি করলো। যে ব্যক্তি তৃতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন শিংওয়ালা একটি মেষ কুরবানি করলো। যে ব্যক্তি চতুর্থ মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি মুরগি কুরবানি (সদকা) করলো। যে ব্যক্তি পঞ্চম মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি ডিম কুরবানি (সদকা) করলো। পরে ইমাম যখন (সালাতের উদ্দেশ্যে) বের হয়ে পড়েন (মিম্বারে বসে পড়েন), তখন ফেরেশতারা সালাতে উপস্থিত হয়ে খুতবা শুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৪৯৯; সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিস: ১০৯২)

এ ক্ষেত্রে কোনো কারণে কেউ যদি জুমার নামাজ না পায় তাহলে তাকে জুমার পরিবর্তে জোহরের ৪ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। তবে যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পায় তার জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

তবে কেউ যদি জুমার প্রথম রাকাত ছুটে গেলেও দ্বিতীয় রাকাত পায়, তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর তিনি উঠে দাঁড়াবেন এবং আরেক রাকাত সম্পন্ন করবেন। এজন্য তাকে জোহর আদায় করতে হবে না।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোনো সালাতের (নামাজ) এক রাকাত পায়, সে সালাত পেল। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৫৩)

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *