‘এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটে ক্রিকেটটা যদি ছড়িয়ে দিতে পারি, মাদরাসা তারই একটা অংশ, মাদরাসায় লাখ লাখ ছাত্র আছে, সেখান থেকে যদি কিছু ক্রিকেটার আসে, তাদের জন্য আমরা সেই ব্যবস্থা করছি’—বাংলাদেশের মাদরাসাগুলোকে ক্রিকেটের আওতায় আনতে সম্প্রতি এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পূর্ণমেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বাংলাদেশে কওমি ও আলিয়া—দুই ধারার মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলেও বিসিবি সভাপতি তার কথায় কোনো ধারার মাদরাসাকে নির্দিষ্ট করেননি। তার এমন পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। পক্ষে বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ দেখছেন ইতিবাচকভাবে, কেউ আবার নেতিবাচকভাবে। মাদরাসা অঙ্গনের রক্ষণশীলতার কারণে কেউ রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে।
বিসিবি সভাপতির মাদরাসা ক্রিকেট ভাবনাকে আপাতত ইতিবাচক বা নেতিবাচক—কোনোভাবেই দেখছেন না আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নুরুল হক। তার মতে, ক্রিকেট খেলা দোষণীয় কিছু নয়। তবে বিষয়টিকে কোনোভাবে তাড়াহুড়ো করে দেখা উচিত নয়।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, প্রফেসর মিঞা মো. নুরুল হক বলেন, বিসিবি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তারা তাদের প্রক্রিয়ায় এগোবে। এখান থেকে ভালো মানের কোনো ক্রিকেটার উঠে এলে তা দেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো।
তিনি বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে সবাই শিক্ষকতা পেশায় যান না। তাই বিসিবি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তারা তাদের প্রক্রিয়ায় এগোবে। এখান থেকে ভালো মানের কোনো ক্রিকেটার উঠে এলে তা দেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো।
বিসিবির মাদরাসা ক্রিকেট ভাবনা নিয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চান না কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। তিনি বলেন, ক্রিকেট বা যে কোনো খেলাধুলার বিষয়ে মাদরাসাগুলো ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তারা তাদের নিয়ম ও রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করতে দেন। তবে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিসিবি সভাপতি বা সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা নির্দেশনা এখন পর্যন্ত বেফাকের কাছে আসেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র পেলে বোর্ডের দায়িত্বশীলরা পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন। এর আগে মন্তব্য করার কিছু নেই। বিসিবির মাদরাসা ক্রিকেট ভাবনা নিয়ে জানতে বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। ফোনকল ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের শারীরিক চর্চা ও প্রতিভা বিকাশের একটি সুযোগ হিসেবে মাদরাসা ছাত্রদের জন্য ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন ঢাকা আলিয়ার হেড মাওলানা মো. মনজুরুর রহমান। তিনি বলেছেন, ক্রিকেট খেলায় ফরজ তরক (অপরিহার্য ধর্মীয় কাজ ত্যাগ করা) বা কোনো ধর্মীয় বিধি-নিষেধ ভঙ্গ হয় না। তাই মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট ভাবনা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। তবে শিক্ষার্থীদের পেশাদার ক্রিকেটার বানানোর আগে অন্তত ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী মনে করেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পড়াশোনা ও তাদের মূল উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিসিবির এই সিদ্ধান্ত কওমির পরিবর্তে আলিয়া মাদরাসায় প্রয়োগ হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
বিসিবির মাদরাসা ক্রিকেট পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা আলিয়ার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহজালাল। তার মতে, আলিয়া মাদরাসা সরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত হয়েও সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় না। বিসিবির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যদি মাদরাসা থেকে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ক্রিকেটার উঠে আসে, তা দেশের জন্য গর্বের।
তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত সাধারণত আলিয়া মাদরাসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়, যেহেতু তারা সরকারি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। কওমি মাদরাসাগুলোর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত এলে বোর্ড পরামর্শক্রমে মত দেবে। তবে ক্রিকেট খেলায় সময় অপচয় ও ধর্মীয় বিধি-নিষেধের বিষয় জড়িত থাকায় আমি এতে ইতিবাচক কিছু দেখছি না।
তিনি বলেন, ক্রিকেট ঘিরে অনেকে জুয়া বা অনৈতিক কাজের অভিযোগ তোলেন, কিন্তু এটি দুষ্টচক্রের ব্যক্তিগত অপরাধ। এর সঙ্গে ক্রিকেট বা ক্রিকেটারদের কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষকে ইতিবাচক কাজে যুক্ত করার মাধ্যম হিসেবেও ক্রিকেট কাজ করতে পারে। ক্রিকেটার উঠে আসে, তা দেশের জন্য গর্বের।
মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী আরও বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত সাধারণত আলিয়া মাদরাসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়, যেহেতু তারা সরকারি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। কওমি মাদরাসাগুলোর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অফিসিয়ালভাবে সিদ্ধান্ত এলে বোর্ড পরামর্শক্রমে মত দেবে। তবে ক্রিকেট খেলায় সময় অপচয় ও ধর্মীয় বিষয় জড়িত থাকায় আমি এতে ইতিবাচক কিছু দেখছি না।
বিসিবির মাদরাসা ক্রিকেট পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা আলিয়ার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহজালাল। তার মতে, আলিয়া মাদরাসা সরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত হয়েও সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় না। বিসিবির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যদি মাদরাসা থেকে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ক্রিকেটার উঠে আসে, তা দেশের জন্য গর্বের।
ইসলামি লেখক ও এক্টিভিস্ট সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর মনে করেন, মাদরাসা ক্রিকেট নতুন কোনো বিষয় নয়। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অনেক আগেই ব্যক্তিগত পরিসরে ক্রিকেট খেলেন। বিসিবির উদ্যোগে এখন সেই কার্যক্রম আরও সংগঠিত হতে পারে।
তিনি বলেন, ক্রিকেট ঘিরে অনেকে জুয়া বা অনৈতিক কাজের অভিযোগ তোলেন, কিন্তু এটি দুষ্টচক্রের ব্যক্তিগত অপরাধ। এর সঙ্গে ক্রিকেট বা ক্রিকেটারদের কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষকে ইতিবাচক কাজে যুক্ত করার মাধ্যম হিসেবেও ক্রিকেট কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও খেলাধুলার যে বয়সটা পার করছে, একই সময়ে তাদের সমবয়সী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সমাজের অন্য অনেক খেলাধুলা ও এক্টিভিটিজ-এ জয়েন করতে পারে। মোটাদাগে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ থাকে না, তারা নিজেদের গণ্ডির মধ্যেই ক্রিকেট-ফুটবল খেলার চেষ্টা করেন। তাই বিসিবির এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে এর মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সমাজের একটা মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারবেন। তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন নন তা প্রমাণিত হবে।
তিনি বলেন, ক্রিকেট খেলা নাজায়েজ নয়। তবে কিছু অনুষঙ্গের কারণে কখনো এর সঙ্গে জায়েজ–নাজায়েজের প্রশ্ন জড়িয়ে যায়। শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে ক্রিকেট খেললে তাতে দোষের কিছু নেই। তাছাড়া বিসিবির তত্ত্বাবধানে থাকলে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
বিসিবির মাদরাসা ক্রিকেট পরিকল্পনাকে একটি ‘চমক’ হিসেবে দেখছেন রাজধানীর উত্তরার মাদরাসাতুল মুত্তাকীনের শিক্ষক এবং এক্টিভিস্ট মাওলানা ওলিউর রহমান। তিনি বলেন, বিসিবির কার্যক্রম ও সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে যে জলঘোলা হয়েছে, এতে বিসিবির নতুন সভাপতির মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গ আনাকে প্রচারণামূলক উদ্যোগ বলেই মনে হয়।
বিসিবির সিদ্ধান্ত মাদরাসার ছাত্রদের জন্য বিরাট সৌভাগ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে কিংবা মাদরাসাবিরোধী ভয়ানক কোনো ষড়যন্ত্র করছে কোনোটাই মনে হয়নি। এমনকি এটার কার্যকরিতা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাই বিসিবি যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খেলোয়াড় বাছাই করে, তাহলে সেটা স্কুল, কলেজ বা মাদরাসা—যেখান থেকেই হোক। আলাদা করে মাদরাসাকে ফোকাস করার প্রয়োজন নেই।
মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে ক্রিকেট খেলা পছন্দ করলেও বিসিবির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাদরাসা টুর্নামেন্টকে সমর্থন করছেন না রাজধানীর জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদরাসার শিক্ষার্থী যাকারিয়া মাহমুদ। তার মতে, এর মাধ্যমে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে। শরীরচর্চা ও বিনোদনের ক্রিকেট আর বিসিবির তত্ত্বাবধানে ক্রিকেট—দুটো ভিন্ন বিষয়। অভিভাবকরা ভালো আলেম গড়ার জন্য মাদরাসায় সন্তান পাঠান, ক্রিকেটার বানানোর জন্য নয়।
ভালো ক্রিকেটার—দুটো একসঙ্গে হওয়া সম্ভব নয়।
একই মাদরাসার শিক্ষার্থী শরীফ হুসাইন বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা প্রায়ই নিজেদের পরিসরে ক্রিকেট খেলে। তবে নিজেদের প্রমাণ করার মতো কোনো প্ল্যাটফর্ম কখনো পায়নি। বিসিবির উদ্যোগের মাধ্যমে যদি সুযোগ পাওয়া যায়, সেটা ভালো হবে। কিন্তু কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এতে রাজি হবেন বলে মনে হয় না। তার মতে, বিসিবির সিদ্ধান্ত মাদরাসার ছাত্রদের জন্য বিরাট সৌভাগ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে কিংবা মাদরাসাবিরোধী ভয়ানক কোনো ষড়যন্ত্র করছে কোনোটাই মনে হয়নি। এমনকি এটার কার্যকরিতা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাই বিসিবি যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খেলোয়াড় বাছাই করে, তাহলে সেটা স্কুল, কলেজ বা মাদরাসা—যেখান থেকেই হোক। আলাদা করে মাদরাসাকে ফোকাস করার প্রয়োজন নেই।
তামিরুল মিল্লাতের সাবেক শিক্ষার্থী ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মুয়াজ মোস্তাফা বিসিবির উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তার মতে, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ক্রিকেটে বরাবরই ভালো করে। তাদের প্রশিক্ষণ ও সুযোগ দিলে তারা আরও ভালো করবে। বিসিবির উদ্যোগ একটি ভালো পদক্ষেপ।
রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থী শাব্বির আহমাদ খানও শুধু শরীরচর্চা ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ক্রিকেটের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি পেশাদার ক্রিকেটার তৈরির পক্ষে নন। কিশোরগঞ্জের সুলতানপুর নূরুল উলুম দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মাহমুদ হুজাইফা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে দেশের বিজ্ঞ আলেমদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
তার ভাষ্যমতে, ‘ক্রিকেট তো সবার হওয়া উচিত। এখন বাংলাদেশে সবাই ক্রিকেট খেলতে চায়, সব বয়সের লোক, সব সেক্টরের লোক। আমরা সবাইকেই ক্রিকেটে আনতে চাই। যেহেতু এটা বাংলাদেশের মধ্যেই (মাদরাসা) পড়ছে, তাহলে সেটা কেন বাদ যাবে?’
বিসিবির পরিকল্পনা কী?
অনেক আগে থেকে বিসিবির তত্ত্বাবধানে স্কুল ক্রিকেট কার্যক্রম চললেও মাদরাসা ক্রিকেট এতদিন অবহেলিত ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিয়েই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম মাদরাসা ক্রিকেট চালুর ভাবনা। খোদ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মাদরাসা ক্রিকেট নিয়ে ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিসিবির এক পরিচালকের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও এ ব্যাপারে তিনি এখনো কিছু জানেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই মুহূর্তে তার এক মন্তব্য ঘিরে দেশের মাদরাসা পাড়ায় যে ঝড় বইছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সঙ্গে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে, যদি মাদরাসা ক্রিকেট শুরু হয়, তাহলে সুযোগ পাবে কারা?
মাদরাসা ছাত্রদের নিয়ে কোন ফরম্যাটে টুর্নামেন্ট হবে সে ধারণাও দিয়েছেন নবনির্বাচিত এই সভাপতি। বুলবুল বলেন, ‘এখনও বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তবে আমরা যেহেতু পরিকল্পনা করেছি, অবশ্যই বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আপাতত ছোট (টি-টোয়েন্টি) ফরম্যাটে হবে।’ শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ১০ ওভারের ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বিসিবির। আর খেলা হতে পারে আসর নামাজের পর থেকে মাগরিবের সময় পর্যন্ত।
বাংলাদেশে মাদরাসায় দুটো ভাগ আছে—আলিয়া ও কওমী ধারা। এ বিষয়ে বিসিবি অবগত আছে কি না। দুই ধারার মাদরাসাকেই যুক্ত করা হবে কি না। এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
কা/ত/মা