শুক্রবার, রাত ৪:২১
৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি,

বুকে আবু সাঈদ আর হাতে দেশের পতাকা নিয়ে গাজা অভিমুখে শহিদুল আলম

ইসরাইলি সব হুমকি-ধমকীকে উপেক্ষা করে সমুদ্রপথে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের সর্ববৃহৎ নৌ বহর-দ্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। ইতোমধ্যে এই নৌ বহরটি ঢুকে পড়েছে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়। ফলে বেড়েই চলেছে উত্তেজনা। এই নৌ বহরে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও।

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর নাগাদ গাজার প্রায় ১০০ নটিক্যাল মাইলের কাছাকাছি পৌঁছে যায় নৌ বহরটি। দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সেই নৌ বহর থেকে বাংলাদেশের পতাকা হাতে ছবি প্রকাশ করেন শহিদুল আলম। মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি। তার পর থেকে ছবিটি শেয়ার করে শহিদুল আলমসহ যাত্রীবহরর জন্য দোয়া প্রার্থনা করছেন দেশের নেটিজেনরা।

এদিকে গাজাবাসীকে ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে রক্ষার এই নৌ বহরে বাংলাদেশি নাগরিক শহিদুল ইসলামের অংশগ্রহণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিন দূতাবাস। দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জুলাই শহীদ আবু সাঈদের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট গায়ে শহিদুল আলমের ছবিসহ একটি পোষ্ট দেওয়া হয়। পোস্টে বলা হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দূতাবাস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী, শিক্ষাবিদ এবং কর্মী শহিদুল আলমকে গর্বের সাথে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে, যিনি গ্লোবাল সুমুদ মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন এবং ইসরাইল কর্তৃক গাজার অবৈধ অবরোধ ভাঙার এই ঐতিহাসিক মিশনে অংশ নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি হয়েছেন। ন্যায়বিচারের জন্য তার নির্ভীক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস তাদের পোস্টে শহিদুল আলমের একটি উদ্বৃতিও প্রকাশ করেছে। সেখানে শহিদুল আলম বলেছেন, ”আমি বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে যাচ্ছি, তবে বাংলাদেশের সকল মানুষের ভালোবাসা আমার সাথে বহন করছি। গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা। এই সংগ্রামে আমরা যদি পরাজিত হই, তাহলে মানবতা নিজেই পরাজিত হবে।”

৪৫টি নৌযানের এই বহরে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ছাড়াও বিশ্ব বিখ্যাত পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান রিমা হাসান ও এমা ফোরেউসহ বিভিন্ন দেশের স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্তত চারশ’ সাতানব্বই জন রয়েছেন। নৌ বহরটি গাজায় ভিড়তে না দেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর জানিয়েছে, অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে তাদের কমান্ডোরা। ইতোমধ্যে এই নৌবহরের যাত্রাপথে ড্রোন হামলাও চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

অপরদিকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নিরাপত্তায় একাধিক ড্রোন দিয়ে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে দেশটির রেডক্রিসেন্ট। বহরে থাকা মালয়েশিয়ার ৩৪ জনের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে উৎসাহ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমও।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *