দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি ও আলেমরা দাবি করছেন যে, বরিশাল সিটিতে মুফতি ফয়জুল করিম বৈষম্যের শিকার।
বিশেষ করে তখন পুরো বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে বরিশালে মুফতি ফয়জুল করিম সাহেব বিপুল ভোট পেয়ে মেয়র হতে যাচ্ছিলেন; কিন্তু তাকে শারীরিক নির্যাতন করে, তার কর্মী-সমর্থক ও এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে হামলা করে বের করে দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো।
যতই হাইকোর্ট দেখানো হোক না কেন গণতান্ত্রিক বিশ্বে চট্রগ্রাম সিটিতে জনাব ডাক্তার শাহাদাত সাহেব এবং ঢাকা সিটি দক্ষিণে জনাব ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক সাহেবকে যেভাবে মেয়র পদে বসানো হলো তা অকল্পনীয়, অবাস্তব ও অভাবনীয়!
এটি ক্ষমতারোহনের “নতুন ক্ষমতার দাপটের অপপ্রয়োগ”।
জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সমন্বয়কদের পাশে দেশের বড় বড় বিরোধী রাজনৈতিক দল পর্যন্ত যেখানে সরাসরি সমর্থন করেনি, সেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তথা পীর সাহেব চরমোনাই এবং শায়েখে চরমোনাই সরাসরি দলবল নিয়ে ঐসব সমন্বয়কদের পাশে দাড়িয়েছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী আছে, এমনকি প্রধান প্রধান সমন্বয়কদের অনেকেই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই, এর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। মুফতি ফয়জুল করিমই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আল্লাহর রহমতে। দুঃখের সাথে বলতে হয় আজ সেই সমন্বয়কদের একটি অংশ মীর জাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে!
স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জুলুমের শিকার হওয়া চট্টগ্রাম সিটি এবং ঢাকা সিটিতে বিএনপির দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে মেয়রের ঘোষণা দিতে পারলেও বরিশাল সিটিতে স্বৈরাচারের আঘাতে রক্তাক্ত হওয়া মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণা দিতে গড়িমসি করছেন।