মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী
নুরা পাগলা জীবদ্দশায় আযানের শব্দ পরিবর্তন করেছে, কালেমা বিকৃত করেছে, কোরআনকে ‘ভুজপাতা’ আখ্যা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলেছে, এমনকি নিজেকে ইমাম মেহেদী ঘোষণা করেছে। এগুলো নিঃসন্দেহে সরাসরি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ঈমানবিধ্বংসী বিভ্রান্তি। প্রশ্ন হলো—এত বড় অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুর আগে কেন যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়নি?
মৃত্যুর পরও তার অনুসারীরা ওসিয়তের নামে কাবার আদলে ১২ ফিট উঁচু ঘর বানিয়ে সেখানে দাফন করে। এ নিয়ে এলাকাবাসী, আলেম-ওলামা ও স্থানীয় নেতৃত্ব প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে—তবুও প্রশাসন উপস্থিত থেকে কবরটিকে সাধারণ কবরে রূপান্তরিত করেনি কেন?
যখন প্রশাসন জনগণের ক্ষোভ ও আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেয়নি, তখন আলেম-ওলামা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কেন নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে কবরটিকে সাধারণ কবরে পরিণত করেননি?
কেউ দায়িত্ব পালন না করায় উত্তেজিত সাধারণ মানুষ তাদের ভাষায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। আইন যতই কঠোর হোক, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ কখনো গ্রামার বা প্রোটোকলের মধ্যে আবদ্ধ থাকে না। বিশ্বব্যাপী এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে, কিন্তু আমরা এখনও সতর্ক হচ্ছি না এবং যথাসময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছি না কেন?
সুতরাং, সাধারণ মানুষের উপর দোষ চাপানোর আগে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তার আগে নুরা পাগলার ভক্তরা, যারা বাড়াবাড়ির সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
লেখক- মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট
কা/ত/মা