জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নানা প্রস্তাব ও দাবি উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব এসেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে—নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আট বিভাগে আট দিনে সম্পন্ন করার দাবি।
সংলাপে দলের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী বলেন, “চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রভাবমুক্ত রাখতে ইসিকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
একই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকলে একদিনে ভোটগ্রহণ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তিনি বলেন, “পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য ও কেন্দ্র দখল ঠেকাতে প্রয়োজনে ভোটগ্রহণ বিভক্ত করে আট বিভাগে আট দিনে আয়োজন করা যেতে পারে।”
তিনি আরও প্রস্তাব করেন, নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কোনো প্রার্থীর বাসভবনে যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে খেলাফত আন্দোলন এসব দাবি তুলে ধরে।
এদিন অংশ নেওয়া বিভিন্ন দল কালোটাকা, দুর্নীতি ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, কালোটাকার মালিক, অর্থপাচারকারী, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতকারী ও ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিও তোলে কয়েকটি দল। পাশাপাশি প্রার্থীদের জামানত আগের মতো ২০ হাজার টাকায় পুনর্নির্ধারণ এবং নির্বাচন পরিচালনায় ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রস্তাবও আসে।
সকালের প্রথম পর্বে সংলাপে অংশ নেয় এলডিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
দুপুরের পরবর্তী পর্বে যোগ দেয় সিপিবি, জেএসডি, বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনএফ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন–বিএনএম। দলগুলোর বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ১১টি এজেন্ডা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ইসি।
কা/ত/মা