মঙ্গলবার, রাত ৩:২৪
১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

ধানমন্ডি ৩২: যা ঘটলো সারাদিন

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির দিকে বুলডোজার নিয়ে আসা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার সময় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে দুইটি বুলডোজারসহ কয়েকজন তরুণ ধানমন্ডি ৩২-এ প্রবেশের চেষ্টা করেন। ট্রাকের ওপর থেকে স্লোগানও দেন তারা। পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর সেনা সদস্যরাও এসে যোগ দেন।

পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এসময় ছাত্রদের নিক্ষেপ করা একটি অবিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক সেনা সদস্য আহত হন। তার পায়ের পাতা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

চাপে পড়ে বিক্ষোভকারীরা সরে গেলে ধানমন্ডি ৩২-এর দুই প্রান্ত ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আনা দুই বুলডোজারের একটিও ট্রাক থেকে নামানোর সুযোগ হয়নি, আরেকটির চালক বুলডোজার ফেলে পালিয়ে যান।

এরপর কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২-এর প্রবেশমুখে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের কড়া বেষ্টনীর কারণে ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে দাঁড়াতেও দেওয়া হয়নি। দুপুর ২টার দিকে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনাস্থলে থাকা রমনা বিভাগের উপ–কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “ওরা ভবনটি ভাঙতে এসেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছি।”

গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ধানমন্ডি ৩২-এর ভবনটিতে ছাত্রজনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার ছয় মাস পূর্তিতে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ থেকে ভবনটির অর্ধেকের বেশি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *