কার্যক্রম ‘নিষিদ্ধ’ থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শ খানেক নেতাকর্মী রাজধানীর ধানমণ্ডিতে মিছিল করেছে।
রোববার বেলা সোয়া ৩টার দিকে ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে রাপা প্লাজা সংলগ্ন রাস্তা থেকে শংকরের বাংলাদেশ আই হসপিটালের সামনের সড়ক পর্যন্ত মিছিল করতে দেখা যায় তাদের।
শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানো হয় মিছিল থেকে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, “এখানে আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আছেন।”
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বাংলাধ্বনিকে বলেন, “ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মিনা বাজারের সামনে দিয়ে কয়েকশত লোক মিছিল করেছে। এ সময় মিছিল থেকে একটা ককটেলও ফাটিয়েছে। মিছিলকারীরা দ্রুত শংকরের দিকে চলে যায়।”
এ বিষয়ে জানতে ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের দিকে তার একটা মিছিল বের করে। ২৫-৩০ জনের মিছিলটি খুব দ্রুত চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা তাদের পাইনি।”
সপ্তাহখানেক আগেও গুলিস্তানের বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মীকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
গণ আন্দোলনে ক্ষমতা হারিয়ে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিন দিন পর ৮ অগাস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর কয়েকজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অধিকাংশই রয়েছেন আত্মগোপনে। ফলে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তারা নেই।
আন্দোলন দমাতে শত শত মানুষকে হত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়াম লীগ নেতাদের বিচারের উদ্যোগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে মাঝেমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের খবর আসে। কখনো কখনো মিছিল থেকে ধরপাকড়ও করা হয়।
কা/ত/মা