সোমবার, সকাল ৯:৩৬
১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

তুরস্কে পালিত হলো ১০৩তম বিজয় দিবস, আতাতুর্কের সমাধিতে এরদোয়ানের শ্রদ্ধা

১৯২২ সালে গ্রিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের পর আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) তুরস্ক তাদের ১০৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে কুতাহিয়ার দুমলুপিনার অঞ্চলে সংঘটিত সেই যুদ্ধ তুরস্কের স্বাধীনতার ভিত্তি সুদৃঢ় করেছিল।

২৬ আগস্ট শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়, যা গ্রিক দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে নতুন মাত্রা দেয়।

এই দিনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজধানী আঙ্কারার অনিতকবিরে অবস্থিত আতাতুর্কের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ দিনটিকে তুর্কি জাতির “স্বাধীনতা, দৃঢ়তা ও অবিচল স্বাধীনতার প্রতীক” হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “৩০ আগস্ট বিজয় দিবস আমাদের ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়। এটি কেবল একটি সামরিক বিজয় নয়, বরং জাতির অদম্য ইচ্ছাশক্তি, বিশ্বাস ও বীরত্বের প্রতিচ্ছবি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনীর দেশপ্রেম ও জাতির ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে অর্জিত এই জয় দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে, প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মোচন করেছে এবং সমগ্র জাতির জন্য চিরন্তন স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এরদোয়ান বলেন, “এটি এমন এক বিজয়, যা শুধু তুর্কি জাতিকেই নয়, বিশ্বের সব নিপীড়িত জাতিকেও প্রেরণা জুগিয়েছে। এই জয় প্রমাণ করেছে, তুর্কি জাতি কখনো দাসত্ব মেনে নেয় না এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করে না।”

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজ আমাদের কর্তব্য হলো ৩০ আগস্টের স্বাধীনতার মশালকে ঐক্য, সংহতি ও উন্নতির মাধ্যমে আরও উজ্জ্বল করা। পূর্বপুরুষদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া মাতৃভূমিকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করা আমাদের অঙ্গীকার।”

প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর বছরের শেষ নাগাদ তুর্কি অঞ্চল থেকে বিদেশি সেনাদের বিতাড়িত করা হয়। এর এক বছর পর, ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের জন্ম হয়।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *