বৃহস্পতিবার, সকাল ১০:২৭
২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

ট্রাফিক বক্সের সামনে কান্নারত শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে কনস্টেবল

ঢাকার কলাবাগানে পুলিশ বক্সের সামনে কাঁদতে থাকা এক শিশুকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে একজন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এই অভিযাগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা-পুলিশ, এরপর আজ সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী কালবেলাকে বলেন, আমরা তাকে গতকাল রাতে আমাদের হাতে পেয়েছি। কারাগারে যাওয়া মো. রুহুল আমিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। ৪১ বছর বয়সী রুহুল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির শেখ সাদির ছেলে। তিনি বন্দর উপজেলার রুপালি আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া থেকে ওই কনস্টেবল আটক হন। তার সঙ্গে শিশুটিও ছিল। পরে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তাকে সদর মডেল থানা থেকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ১২ বছরের মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। শিশুটির বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। সকালে শিশুটির চাচা ধর্ষণের অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা করেছেন। মামলা ও প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কান্না করছিল শিশুটি। এ সময় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন কনস্টেবল রুহুল আমিন। তিনি শিশুটিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিজ বাসায় যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

পরে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকার দিকে আবার ফিরছিলেন তিনি। পথে চাষাঢ়ায় শিশুটি কান্নাকাটি করলে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং থানায় খবর দেয়।

বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) রমনা বিভাগের একজন কর্মকর্তার কাছে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। তার গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরনের বিষয়টি আমরা ওয়াকিবহাল।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *