শনিবার, বিকাল ৩:৩৫
১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

জ্বালানি খাতে নারীদের শক্তিশালী অংশীজন হিসেবে বিবেচনার আহ্বান

জ্বালানি খাতে নারীদের শক্তিশালী অংশীজন হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে আলোচকরা।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি প্রকল্পের উদ্যোগে উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভ্যালে বক্তারা এ কথা বলেন।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উদ্ভাবক, উন্নয়ন সহযোগী, নীতি প্রভাবক, যুবনেতা ও তৃণমূল নারীরা এক স্থানে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে নারীদের স্বীকৃতিও জানানো হয়। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরকে কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও জেন্ডার-সংবেদনশীল করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নারীদের জীবনের গল্প বলা হয়।

অনুষ্ঠানে রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রোগ্রামের বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে কিনা তা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে ন্যায্যতা প্রয়োজন।

পাহাড়ি এলাকার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি না থাকায় নারীদের কাজে অনেক সময় নষ্ট হয়, তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হলেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভ্যাল নারীর কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালো করার এবং বাংলাদেশকে টেকসই ও সবুজ রূপান্তরের কেন্দ্রে নারীকে স্থান দেওয়ার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ধীরে ধীরে সব জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক জ্বালানি উৎস শেষ হয়ে যাবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছাড়া আমি অন্য কোনো বিকল্প উৎস দেখতে পাচ্ছি না। এছাড়াও তিনি নারীর অদৃশ্য শ্রমের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে যুক্ত হোন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক উপ-প্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম। তিনি জলবায়ু ও জ্বালানি বিষয়ক নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে এখনই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আন্তরিকভাবে ভাবার সময়।

টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) উপসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যদি জলবায়ু নিয়ে কথা বলি, তাহলে সেখানে নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিন ফাইন্যান্সের মতো ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনেক সময় পুরুষদের থেকেও বেশি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ এক জায়গায় উৎপাদন হয়ে অন্যত্র সরবরাহ হয়, এটিকে কেন্দ্রীয় উৎপাদন বলা হয়। কিন্তু ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলাবে। তখন বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *