সোমবার, সকাল ৯:৩৫
১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে মহাশক্তিশালী হ্যারিকেন অ্যারিন

যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে একটি ভয়াবহ হ্যারিকেন “অ্যারিন” ধেয়ে আসছে, যা ইতিমধ্যেই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জরুরি সংস্থাগুলোর সতর্কতা জারি করিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাশক্তিশালী ক্যাটাগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে হ্যারিকেন অ্যারিন। ঝড়ের তীব্র বেগ ও বিপজ্জনক ঢেউ সাধারণ মানুষের জীবন ও সমুদ্রযাত্রার জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করতে পারে। শনিবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হ্যারিকেন অ্যারিন দ্রুত শক্তিশালী হয়ে মহাশক্তিশালী ক্যাটাগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এ ঝড় বর্তমানে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ মাইল বা ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত করছে। ঝড়টি মূলত ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থান করছে এবং এই সপ্তাহান্তে লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও পুয়ের্তো রিকোর উত্তর দিকে অতিক্রম করবে। ঝড়টি দ্রুত শক্তি অর্জন করার কারণে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের পরিচালক মাইক ব্রেনান জানিয়েছেন, ঝড়টি রাতারাতি “অত্যন্ত শক্তিশালী” হয়ে উঠেছে এবং “বিস্ফোরকভাবে গভীর ও তীব্র” আকার নিয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গতি অন্তত ৩৪ মাইল বেড়ে ঘণ্টায় ১০০ মাইল থেকে ১৬০ মাইল বা ২৬০ কিলোমিটার হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে প্রাণঘাতী ঢেউ ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ফ্লোরিডা ও মিড-অ্যাটলান্টিক অঙ্গরাজ্যগুলোতে ঢেউ সবচেয়ে বিপজ্জনক হবে। বারমুডা, সেন্ট থমাস, সেন্ট জন এবং পুয়ের্তো রিকোর বিভিন্ন পৌরসভায় জাহাজ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যারিনের কারণে সর্বোচ্চ ৬ ইঞ্চি (১৫ সেমি) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে, যা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়াবে। চলতি সপ্তাহে ঝড়টি ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাহামার পূর্ব দিক ঘেঁষে উত্তর ক্যারোলিনার আউটার ব্যাংকসের দিকে যাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এই ঘূর্ণিঝড় ২০২৫ সালের আটলান্টিক মৌসুমের প্রথম হ্যারিকেন। মার্কিন জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডল প্রশাসন (এনওএএ) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে আটলান্টিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হ্যারিকেন হতে পারে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্যাটাগরি-৪ ও ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার শক্তিশালী ঝড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *