বৃহস্পতিবার, রাত ১০:৩০
৩০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি,

মাইলস্টোনে বিমান না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল: হাসনাত

মাইলস্টোন স্কুলে বিমান না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত বলেন, সচিবালয় এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র ও গুন্ডামির আস্তানা হয়ে উঠেছে, যেখানে আমাদের সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্যই করা হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা লাল ফিতার জটিলতা ও প্রভাবের শৃঙ্খল থেকে কখনোই মুক্তি পাবে না। এটি আমাদের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্য।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল বিসিএসের বৈষম্য রোধের দাবিতে, কিন্তু আজও পিএসসির কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা বিদ্যমান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখনো ভাগ-বাটোয়ারা ও পোস্টিং নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এখনই সংস্কার করা জরুরি। তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় চাকরিপ্রার্থীরা নেই। যারা সেখানে দায়িত্বে আছেন, তারা সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। এই অদক্ষতা ও উদাসীনতার ফলেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

হাসনাতের অভিযোগ, অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে আমলারা। তারা নিজেদের পদোন্নতি নিশ্চিত করেছে, কিন্তু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের দুর্ভোগ এখনো কমেনি।

তিনি বলেন, পিএসসি আন্তরিকভাবে সংস্কারের চেষ্টা করছে। বিসিএস এক বছরের মধ্যে শেষ করার সুপারিশও করা হয়েছে। তবে চাকরি বিধি সংশোধনের এখতিয়ার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারা যদি এই অনিয়ম বন্ধ করতে না পারে, তাহলে লালফিতার দৌরাত্ম্য থেকে চাকরিপ্রার্থীরা মুক্তি পাবে না।

সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিমানটি যদি মাইলস্টোনে না পড়ে সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে হয়তো দুর্নীতির মূল জায়গাটাতেই আঘাত হতো।

রাজনৈতিক বিবেচনায় ভাইভা নেওয়ার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন না হলে বিসিএস কখনোই স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত হবে না।

কা/ত/মা

Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *